টাঙ্গাইল ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
কালিহাতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন কালিহাতীতে ফুল ঝাড়ু তৈরীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন। মফিদুল সভাপতি, শফিক সম্পাদক কালিহাতীতে তৌহিদ লাইব্রেরী ও ষ্টেশনারীতে আগুন ¡¡ মালিকের মাথায় হাত কালিহাতী পৌর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা নিজেকে বাংলাদেশের মালিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলো | বেনজির টিটো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বার্তা নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।” বেনজির টিটো বিএনপি দখল ও চাঁদাবাজির দায় নেবে না: বেনজির টিটো শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বি এন পি কালিহাতীতে কারো নামে চলতে পারে না। কালিহাতীতে ৯টি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট উত্তোলনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল মাদকমুক্ত আখড়া, যা কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ নামে পরিচিত। প্রায় একশত শতাংশ নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর দরবেশ এবং গোসাই সহ অসংখ্য ভক্তদের একত্রিত করেছে।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর এবং গোসাইদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই এই সংগঠনটি লালন সাইজির ভাবধারা মেনে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, লেখক এবং সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম জানান, সংগঠনটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাগে বিভাজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ পাঠাগার, সাধুসংঘ টিভি এবং কেন্দ্রীয় সাধু পরিষদ। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী সাধুদের একত্রিত করে মহা সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো লালন সাইজির ভাবধারা প্রচার ও প্রসার করা,আমরা চাই সাধুসংঘের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল জানান, “আমরা সারা দেশ থেকে সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, বাউল, ফকির, পীর, মাশায়েক এবং গোসাই সহ লালন সাইজির ভক্তদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলা আয়োজন করি।”
রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রমের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট্য শিল্পপতি শফিকুর রহমান মোল্লা বিন মতি বলেন, আমরা মানবতার কাজ করি এবং মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করিতেছি। পরিবার কর্তৃক নির্যাতিত মা বাবাদের উদ্ধার করে আমাদের আশ্রমে ঠায় পায়। গরীব অসহায় মানুষ গুলোকে বিনা টাকায় ভর্তি করি এবং লালন পালন করি।

সিনিয়র সাধু আলতাব শাহ ফকির ও সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আধ্যাত্মিক আলোচনা আয়োজন করি, যেখানে সকল সাধু অংশ নেন।”

সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সিঙ্গার খোকন ও সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল রতন জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো লালন সাইজির গান গাওয়া ও শেখানো। আমরা বিশ্বাস করি, এই গান মানুষের মধ্যে শান্তি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ প্রতি তিন বছর পরপর সারা দেশে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এবং জাতীয় ফলসেবা দিবস পালন করে। এছাড়াও, তারা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ করে থাকে।

স্থানীয়রা মনে করেন, ধূমপানমুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতা পেলে সংগঠনটি আরও ভালো করবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি আরও ভালো হবে।”

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল মাদকমুক্ত আখড়া, যা কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ নামে পরিচিত। প্রায় একশত শতাংশ নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর দরবেশ এবং গোসাই সহ অসংখ্য ভক্তদের একত্রিত করেছে।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর এবং গোসাইদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই এই সংগঠনটি লালন সাইজির ভাবধারা মেনে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, লেখক এবং সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম জানান, সংগঠনটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাগে বিভাজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ পাঠাগার, সাধুসংঘ টিভি এবং কেন্দ্রীয় সাধু পরিষদ। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী সাধুদের একত্রিত করে মহা সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো লালন সাইজির ভাবধারা প্রচার ও প্রসার করা,আমরা চাই সাধুসংঘের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল জানান, “আমরা সারা দেশ থেকে সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, বাউল, ফকির, পীর, মাশায়েক এবং গোসাই সহ লালন সাইজির ভক্তদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলা আয়োজন করি।”
রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রমের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট্য শিল্পপতি শফিকুর রহমান মোল্লা বিন মতি বলেন, আমরা মানবতার কাজ করি এবং মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করিতেছি। পরিবার কর্তৃক নির্যাতিত মা বাবাদের উদ্ধার করে আমাদের আশ্রমে ঠায় পায়। গরীব অসহায় মানুষ গুলোকে বিনা টাকায় ভর্তি করি এবং লালন পালন করি।

সিনিয়র সাধু আলতাব শাহ ফকির ও সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আধ্যাত্মিক আলোচনা আয়োজন করি, যেখানে সকল সাধু অংশ নেন।”

সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সিঙ্গার খোকন ও সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল রতন জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো লালন সাইজির গান গাওয়া ও শেখানো। আমরা বিশ্বাস করি, এই গান মানুষের মধ্যে শান্তি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ প্রতি তিন বছর পরপর সারা দেশে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এবং জাতীয় ফলসেবা দিবস পালন করে। এছাড়াও, তারা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ করে থাকে।

স্থানীয়রা মনে করেন, ধূমপানমুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতা পেলে সংগঠনটি আরও ভালো করবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি আরও ভালো হবে।”

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ