টাঙ্গাইল ০৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
আন্ডারপাস নির্মানের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ কালিহাতীতে বন্ধু মহল ফুটবল লীগ-২০২৪ এর উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধমূলক সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত কালিহাতীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কালিহাতী কেন্দ্রীয় জয়কালী মন্দিরে কার্তিক দামোদর মাসের শুভ উদ্বোধন কালিহাতীতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কালিহাতী উপজেলা আমিন সমিতির নির্বাচনে আলাউদ্দিন সভাপতি ও ফিরোজ সম্পাদক বন্যাদুর্গতদের পাশে টাঙ্গাইল নার্সেস ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল মাদকমুক্ত আখড়া, যা কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ নামে পরিচিত। প্রায় একশত শতাংশ নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর দরবেশ এবং গোসাই সহ অসংখ্য ভক্তদের একত্রিত করেছে।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর এবং গোসাইদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই এই সংগঠনটি লালন সাইজির ভাবধারা মেনে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, লেখক এবং সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম জানান, সংগঠনটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাগে বিভাজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ পাঠাগার, সাধুসংঘ টিভি এবং কেন্দ্রীয় সাধু পরিষদ। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী সাধুদের একত্রিত করে মহা সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো লালন সাইজির ভাবধারা প্রচার ও প্রসার করা,আমরা চাই সাধুসংঘের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল জানান, “আমরা সারা দেশ থেকে সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, বাউল, ফকির, পীর, মাশায়েক এবং গোসাই সহ লালন সাইজির ভক্তদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলা আয়োজন করি।”
রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রমের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট্য শিল্পপতি শফিকুর রহমান মোল্লা বিন মতি বলেন, আমরা মানবতার কাজ করি এবং মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করিতেছি। পরিবার কর্তৃক নির্যাতিত মা বাবাদের উদ্ধার করে আমাদের আশ্রমে ঠায় পায়। গরীব অসহায় মানুষ গুলোকে বিনা টাকায় ভর্তি করি এবং লালন পালন করি।

সিনিয়র সাধু আলতাব শাহ ফকির ও সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আধ্যাত্মিক আলোচনা আয়োজন করি, যেখানে সকল সাধু অংশ নেন।”

সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সিঙ্গার খোকন ও সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল রতন জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো লালন সাইজির গান গাওয়া ও শেখানো। আমরা বিশ্বাস করি, এই গান মানুষের মধ্যে শান্তি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ প্রতি তিন বছর পরপর সারা দেশে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এবং জাতীয় ফলসেবা দিবস পালন করে। এছাড়াও, তারা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ করে থাকে।

স্থানীয়রা মনে করেন, ধূমপানমুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতা পেলে সংগঠনটি আরও ভালো করবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি আরও ভালো হবে।”

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

প্রকাশিত : রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল মাদকমুক্ত আখড়া, যা কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ নামে পরিচিত। প্রায় একশত শতাংশ নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর দরবেশ এবং গোসাই সহ অসংখ্য ভক্তদের একত্রিত করেছে।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সাধু গুরু, বাউল, ফকির, পীর এবং গোসাইদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই এই সংগঠনটি লালন সাইজির ভাবধারা মেনে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, লেখক এবং সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম জানান, সংগঠনটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাগে বিভাজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ পাঠাগার, সাধুসংঘ টিভি এবং কেন্দ্রীয় সাধু পরিষদ। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষাভাষী সাধুদের একত্রিত করে মহা সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো লালন সাইজির ভাবধারা প্রচার ও প্রসার করা,আমরা চাই সাধুসংঘের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল জানান, “আমরা সারা দেশ থেকে সাধু, গুরু, বৈষ্ণব, বাউল, ফকির, পীর, মাশায়েক এবং গোসাই সহ লালন সাইজির ভক্তদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলা আয়োজন করি।”
রাবেয়া রহমত উল্লাহ বৃদ্ধাশ্রমের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট্য শিল্পপতি শফিকুর রহমান মোল্লা বিন মতি বলেন, আমরা মানবতার কাজ করি এবং মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করিতেছি। পরিবার কর্তৃক নির্যাতিত মা বাবাদের উদ্ধার করে আমাদের আশ্রমে ঠায় পায়। গরীব অসহায় মানুষ গুলোকে বিনা টাকায় ভর্তি করি এবং লালন পালন করি।

সিনিয়র সাধু আলতাব শাহ ফকির ও সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আধ্যাত্মিক আলোচনা আয়োজন করি, যেখানে সকল সাধু অংশ নেন।”

সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সিঙ্গার খোকন ও সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল রতন জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো লালন সাইজির গান গাওয়া ও শেখানো। আমরা বিশ্বাস করি, এই গান মানুষের মধ্যে শান্তি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দেয়।”

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ প্রতি তিন বছর পরপর সারা দেশে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এবং জাতীয় ফলসেবা দিবস পালন করে। এছাড়াও, তারা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ করে থাকে।

স্থানীয়রা মনে করেন, ধূমপানমুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতা পেলে সংগঠনটি আরও ভালো করবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি আরও ভালো হবে।”

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ