টাঙ্গাইল ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
কালিহাতীতে কোকডহরা ইউনিয়ন বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, মাতব্বরদের প্রভাবে আইনি রায়ও অকার্যকর কালিহাতী নার্সিং ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বিনিময় পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ কালিহাতীতে ফুটবল উৎসব: বন্ধু মহল টুর্নামেন্টের ফাইনালে শিরোপা জয়ী আলামিন একাদশ কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কালিহাতীতে চাকখিলদা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪-এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে সাংবাদিকের পিতার মৃত্যুতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল  সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কালিহাতী পৌর বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কালিহাতীতে অগ্নিকান্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

খালেদা জিয়া হাসপাতালে

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২
  • / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে ৪টা ৩৩ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।

তিনি জানান, নির্ধারিত চেক-আপ করানোর পর আবার ফিরোজায় ফেরত আসবেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এর পর গত ৭ নভম্বের হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় উঠেন তিনি।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় গত বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

খালেদা জিয়া হাসপাতালে

প্রকাশিত : সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার বিকাল ৩টা ৫৭ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে ৪টা ৩৩ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।

তিনি জানান, নির্ধারিত চেক-আপ করানোর পর আবার ফিরোজায় ফেরত আসবেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এর পর গত ৭ নভম্বের হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় উঠেন তিনি।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় গত বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়।