টাঙ্গাইল ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
বন্যাদূর্গ সহস্রাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিল কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটি কালিহাতীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে কালিহাতী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কালিহাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালিহাতীতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন কালিহাতীতে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ বাসাইলের কাশিলে বাথরুমের পাশে থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার কালিহাতীর এলেঙ্গা রিসোর্ট থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অপরাধে আটক ১০ টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যায়যায়দিন পএিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

বাসার পেছনে আকরাম খানের গৃহকর্মীর লাশ, যা জানা গেল

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খানের বাসার গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম সাহিদা বেগম। ২৫ বছর বয়সী সাহিদার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পন্থিছিলা এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক।

সাহিদার বড় বোন রাসেদা বেগম জানান, ১৩ বছর ধরে আকরাম খানের বাসায় কাজ করছিল সাহিদা। তবে অত্যাচার-নির্যাতনের কোনো অভিযোগ কখনো জানায়নি সে। বরং মামা-মামি (আকরাম খান দম্পতি) অনেক স্নেহ করতেন।

আকরাম খানের বাসার এ গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

কাফরুল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রোববার ১১টার দিকে ডিওএইচএস তিন নম্বর রোডের দুটি ভবনের মাঝে নিচে পড়েছিল সাহিদার নিথর দেহ। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, ছয়তলা ভবনের পাঁচ ও ছয়তলা ডুপ্লেক্স বাসায় থাকেন আকরাম খান। ছয়তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে সাহিদা মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ বাসার পেছনে পাওয়া যায়। পেছনেও আরেকটি ভবন রয়েছে। সাহিদার বাম হাত ভাঙা ও শরীরে কিছু জখম ছিল।

আকরাম খান বলেন, আমার বাসায় ১৪ বছর ধরে কাজ করছে সাহিদা। ঘটনার দিন রোববার বাইরে গিয়েছিল আমার স্ত্রী ও মেয়ে। বাসায় চারজন গৃহকর্মী। কিন্তু স্ত্রী-মেয়ে বাসায় ফেরার পর সাহিদাকে খুঁজে পাচ্ছিল না অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিচে সাহিদাকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

আকরাম খানের গাড়ির ড্রাইভার জয়নাল বলেন, রোববার বিকেলে ম্যাডাম, তার মেয়ে ও খালাকে নিয়ে গুলশানে শপিংয়ে গিয়েছিলাম। বাসায় ফেরা হয় রাত ১০টার দিকে। এ সময় সাহিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানতে পারি সে দুই ভবনের মাঝখানে পড়ে আছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাসার পেছনে আকরাম খানের গৃহকর্মীর লাশ, যা জানা গেল

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খানের বাসার গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম সাহিদা বেগম। ২৫ বছর বয়সী সাহিদার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পন্থিছিলা এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক।

সাহিদার বড় বোন রাসেদা বেগম জানান, ১৩ বছর ধরে আকরাম খানের বাসায় কাজ করছিল সাহিদা। তবে অত্যাচার-নির্যাতনের কোনো অভিযোগ কখনো জানায়নি সে। বরং মামা-মামি (আকরাম খান দম্পতি) অনেক স্নেহ করতেন।

আকরাম খানের বাসার এ গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

কাফরুল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রোববার ১১টার দিকে ডিওএইচএস তিন নম্বর রোডের দুটি ভবনের মাঝে নিচে পড়েছিল সাহিদার নিথর দেহ। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, ছয়তলা ভবনের পাঁচ ও ছয়তলা ডুপ্লেক্স বাসায় থাকেন আকরাম খান। ছয়তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে সাহিদা মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ বাসার পেছনে পাওয়া যায়। পেছনেও আরেকটি ভবন রয়েছে। সাহিদার বাম হাত ভাঙা ও শরীরে কিছু জখম ছিল।

আকরাম খান বলেন, আমার বাসায় ১৪ বছর ধরে কাজ করছে সাহিদা। ঘটনার দিন রোববার বাইরে গিয়েছিল আমার স্ত্রী ও মেয়ে। বাসায় চারজন গৃহকর্মী। কিন্তু স্ত্রী-মেয়ে বাসায় ফেরার পর সাহিদাকে খুঁজে পাচ্ছিল না অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিচে সাহিদাকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

আকরাম খানের গাড়ির ড্রাইভার জয়নাল বলেন, রোববার বিকেলে ম্যাডাম, তার মেয়ে ও খালাকে নিয়ে গুলশানে শপিংয়ে গিয়েছিলাম। বাসায় ফেরা হয় রাত ১০টার দিকে। এ সময় সাহিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানতে পারি সে দুই ভবনের মাঝখানে পড়ে আছে।