কে হচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি? লড়ছেন শশী থারুর ও অশোক
- প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ অক্টোবর।
এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বনাম কেরালার তিরু অনন্তপুরমের এমপি সাবেক মন্ত্রী শশী থারুরের মধ্যে। এ দুজন এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান টাইমসের।
অশোক গহলৌতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি আসবেন তিনি। সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ২৬ সেপ্টেম্বর।
মরুরাজ্যের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী, ৭১ বছরের অশোক কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের অন্যতম। ছাত্রাবস্থা থেকেই কংগ্রেসে রাজনীতি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পদে কাজ করা শশী থারুরের বয়স ৬৬ হলেও তিনি সক্রিয় রাজনীতি করেছেন দেড় দশকেরও কম সময়।
সোমবার থারুর হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর ভূপেন্দ্র হুডার ছেলে দীপেন্দ্র এবং দিল্লির কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ আগারওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানায়, থারুর সভাপতি পদের নির্বাচনে লড়ার জন্য সোনিয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। সোনিয়া তাকে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী জানান, সভাপতি পদে ভোটাভুটি হবে। কোনো প্রার্থী ঠিক করা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের আগস্টে কংগ্রেসের অন্দরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ২৩ জন নবীন ও প্রবীণ নেতা।
দাবি তুলেছিলেন, দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের। পাশাপাশি ‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা। দলের অন্দরে সেই ‘বিদ্রোহী ২৩’ (গ্রুপ-২৩ বা জি-২৩ নামে যারা পরিচিত ইতোমধ্যে) -এর মধ্যেই রয়েছেন থারুর ও ভূপেন্দ্র।
গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, জিতিন প্রসাদের মতো জি-২৩-এর নেতাদের কয়েকজন ইতোমধ্যে দল ছেড়েছেন। এ নিয়ে কংগ্রেসের ভেতরে তোলপাড় চলছে।
নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার জন্য কংগ্রেসে ভোট হবে ১৭ অক্টোবর। ভোটগণনা ১৯ অক্টোবর। ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২৪-৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ অক্টোবর। সর্বসম্মতিক্রমে কেউ সভাপতি হিসাবে মনোনীত হলে, কিংবা একের বেশি প্রার্থী না থাকলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না।