টাঙ্গাইল ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
কালিহাতী নার্সিং ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বিনিময় পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ কালিহাতীতে ফুটবল উৎসব: বন্ধু মহল টুর্নামেন্টের ফাইনালে শিরোপা জয়ী আলামিন একাদশ কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কালিহাতীতে চাকখিলদা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪-এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে সাংবাদিকের পিতার মৃত্যুতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল  সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কালিহাতী পৌর বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কালিহাতীতে অগ্নিকান্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কালিহাতীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অতিথিরা আসলেন ৫টি হেলিকপ্টারে টাঙ্গাইলে গল্লী বার্ষিক ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

গন্ধ শুঁকেই করোনা শনাক্ত করবে কুকুর!

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শরীরে করোনাভাইরানের উপস্থিতি খুঁজে বের করতে পারবে কুকুর! অবাক করা এ তথ্য জানিয়েছেন একদল মার্কিন গবেষক।

ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দল ২০২১ সালের শেষের দিকে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

এ গবেষণায় তারা দেখছেন, প্রশিক্ষিত কুকুর গন্ধ শুঁকে ৯৭.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে করোনা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

গন্ধ শুঁকে বোমা ও মাদক চিনতে দীর্ঘদিন ধরে কুকুরের ব্যবহার হয়ে আসছে। নির্দিষ্ট ধরণের ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি পারকিনসন্স রোগও শুঁকে চিহ্নিত করতে কুকুরের ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় কোনও পরীক্ষা বা রাসায়নিক জড়িত থাকে না। কুকুরের কোনও জিনিস শুঁকে চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়াকে ‘বায়োডিটেকশন’ বলা হয়।

২০২০ সালে, করোনা মহামারি আঘাত হানার পরেই বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা সার্স-কোভ-২ ভাইরাস শুঁকতে কুকুরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এবং প্রথম দিকেই সাফল্যের মুখ দেখেন তারা।

আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) জানিয়েছে, কুকুর তাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘ্রাণশক্তির জন্য পরিচিত। যখন কেউ অসুস্থ হয়, তখন মানবদেহ নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত করে। যা গ্যাস হিসাবে নির্গত হয়।

প্রতি সংক্রমণে একটি নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে। সুতরাং, যাদের শরীর থেকে কোভিড সংক্রামিত হওয়ার পরে নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত হয়, তাদের শরীর থেকে একটি স্বতন্ত্র গন্ধ বেরোয়। এই বিশেষ গন্ধটি ‘বায়োডিটেকশন’-এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

বিমানবন্দরগুলি এই শনাক্তকরণ পদ্ধতির জন্য আদর্শ জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিনল্যান্ডে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা প্রথম শুরু হয়। ফিনল্যান্ড এবং লেবাননে পরিচালিত পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে করোনা পজিটিভদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় কুকুর।

আমেরিকার মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৮ শতাংশ সাফল্য পাওয়া যায় বলেও এনসিবিআই জানিয়েছে ।

এর পর থেকেই করোনা চিনতে স্নিফিং কুকুর মোতায়েন করা জায়গার সংখ্যা বাড়ছে। দুবাইয়ের পুলিশ ৩৮টি স্নিফার কুকুরের একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে, যা ৯২ শতাংশ নির্ভুলভাবে মানুষের ঘামের নমুনা থেকে কোভিড শনাক্ত করতে পেরেছে বলে দাবি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গন্ধ শুঁকেই করোনা শনাক্ত করবে কুকুর!

প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

শরীরে করোনাভাইরানের উপস্থিতি খুঁজে বের করতে পারবে কুকুর! অবাক করা এ তথ্য জানিয়েছেন একদল মার্কিন গবেষক।

ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দল ২০২১ সালের শেষের দিকে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

এ গবেষণায় তারা দেখছেন, প্রশিক্ষিত কুকুর গন্ধ শুঁকে ৯৭.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে করোনা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

গন্ধ শুঁকে বোমা ও মাদক চিনতে দীর্ঘদিন ধরে কুকুরের ব্যবহার হয়ে আসছে। নির্দিষ্ট ধরণের ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি পারকিনসন্স রোগও শুঁকে চিহ্নিত করতে কুকুরের ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় কোনও পরীক্ষা বা রাসায়নিক জড়িত থাকে না। কুকুরের কোনও জিনিস শুঁকে চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়াকে ‘বায়োডিটেকশন’ বলা হয়।

২০২০ সালে, করোনা মহামারি আঘাত হানার পরেই বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা সার্স-কোভ-২ ভাইরাস শুঁকতে কুকুরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এবং প্রথম দিকেই সাফল্যের মুখ দেখেন তারা।

আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) জানিয়েছে, কুকুর তাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘ্রাণশক্তির জন্য পরিচিত। যখন কেউ অসুস্থ হয়, তখন মানবদেহ নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত করে। যা গ্যাস হিসাবে নির্গত হয়।

প্রতি সংক্রমণে একটি নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে। সুতরাং, যাদের শরীর থেকে কোভিড সংক্রামিত হওয়ার পরে নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত হয়, তাদের শরীর থেকে একটি স্বতন্ত্র গন্ধ বেরোয়। এই বিশেষ গন্ধটি ‘বায়োডিটেকশন’-এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

বিমানবন্দরগুলি এই শনাক্তকরণ পদ্ধতির জন্য আদর্শ জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিনল্যান্ডে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা প্রথম শুরু হয়। ফিনল্যান্ড এবং লেবাননে পরিচালিত পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে করোনা পজিটিভদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় কুকুর।

আমেরিকার মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৮ শতাংশ সাফল্য পাওয়া যায় বলেও এনসিবিআই জানিয়েছে ।

এর পর থেকেই করোনা চিনতে স্নিফিং কুকুর মোতায়েন করা জায়গার সংখ্যা বাড়ছে। দুবাইয়ের পুলিশ ৩৮টি স্নিফার কুকুরের একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে, যা ৯২ শতাংশ নির্ভুলভাবে মানুষের ঘামের নমুনা থেকে কোভিড শনাক্ত করতে পেরেছে বলে দাবি।