টাঙ্গাইল ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
বন্যাদূর্গ সহস্রাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিল কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটি কালিহাতীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে কালিহাতী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কালিহাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালিহাতীতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন কালিহাতীতে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ বাসাইলের কাশিলে বাথরুমের পাশে থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার কালিহাতীর এলেঙ্গা রিসোর্ট থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অপরাধে আটক ১০ টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম মাদকমুক্ত কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যায়যায়দিন পএিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সেই ‘হিরো’ ইঁদুরের মৃত্যু

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

শত মানুষের প্রাণ বাঁচানো স্বর্ণপদক জয়ী ইদুর মাগওয়া মারা গেছে।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো ইঁদুরটির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটিতে বলেছে, আট বছর বয়সি মাগওয়া আর নেই।

মৃত্যুর খবর জানানো বিবৃতিতে বলা হয়, সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিল। অধিকাংশ দিনই সে স্বভাবগত ভঙ্গিতে খেলেছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিকে খাবারে অনিহাসহ সে ঝিমাতে থাকে।

শোক বার্তায় অ্যাপোপো আরও বলে, আমরা মাগওয়ার হারিয়ে যাওয়া অনুভব করছি। যে অবিশ্বাস্য কাজ সে করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার অবদানের ফলেই কম্বোডিয়ার মানুষ ভয় ও জীবন হারানোর শঙ্কা ছাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারে।

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়াভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো প্রাণীটিকে প্রশিক্ষণ দেয়। মাগওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তানজানিয়ায়। ওজন ছিল ১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম, লম্বা ৭০ সেন্টিমিটার। এই প্রজাতির ইঁদুর অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক বড় হলেও মাগওয়া ছিল ছোট ও হালকা–পাতলা গড়নের।

পেশাজীবনে মাগওয়া দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় শতাধিক স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলা শনাক্ত করেছে। স্থলমাইন শনাক্তের মতো অতিঝুঁকিপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য গত বছর মাগওয়াকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। ২০২০ সালের জুনে তাকে অবসর দেওয়া হয়।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো মাগওয়াকে প্রশিক্ষণ দেয়
দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো মাগওয়াকে প্রশিক্ষণ দেয়

বহু প্রাণঘাতী যুদ্ধের সাক্ষী কম্বোডিয়া। সেখানে এখনও বহু জায়গায় মাটির নিচে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে। সেইসব ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মাগওয়াকে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে লাগানো হতো। যে জায়গা বোম্ব–ডিটেকটর হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় চারদিন সময় লাগবে সেখানে ৩০ মিনিটে সফলভাবে সার্চ অপারেশন চালাতো মাগওয়া।

কম্বোডিয়ায় ৬০ লাখের বেশি স্থলমাইন রয়েছে। স্থলমাইন অপসারণে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হালো ট্রাস্টের তথ্যমতে, ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে দেশটিতে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সত্তরের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত চলা দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সেই ‘হিরো’ ইঁদুরের মৃত্যু

প্রকাশিত : বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২

শত মানুষের প্রাণ বাঁচানো স্বর্ণপদক জয়ী ইদুর মাগওয়া মারা গেছে।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো ইঁদুরটির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটিতে বলেছে, আট বছর বয়সি মাগওয়া আর নেই।

মৃত্যুর খবর জানানো বিবৃতিতে বলা হয়, সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিল। অধিকাংশ দিনই সে স্বভাবগত ভঙ্গিতে খেলেছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিকে খাবারে অনিহাসহ সে ঝিমাতে থাকে।

শোক বার্তায় অ্যাপোপো আরও বলে, আমরা মাগওয়ার হারিয়ে যাওয়া অনুভব করছি। যে অবিশ্বাস্য কাজ সে করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার অবদানের ফলেই কম্বোডিয়ার মানুষ ভয় ও জীবন হারানোর শঙ্কা ছাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারে।

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়াভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো প্রাণীটিকে প্রশিক্ষণ দেয়। মাগওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তানজানিয়ায়। ওজন ছিল ১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম, লম্বা ৭০ সেন্টিমিটার। এই প্রজাতির ইঁদুর অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক বড় হলেও মাগওয়া ছিল ছোট ও হালকা–পাতলা গড়নের।

পেশাজীবনে মাগওয়া দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় শতাধিক স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলা শনাক্ত করেছে। স্থলমাইন শনাক্তের মতো অতিঝুঁকিপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য গত বছর মাগওয়াকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। ২০২০ সালের জুনে তাকে অবসর দেওয়া হয়।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো মাগওয়াকে প্রশিক্ষণ দেয়
দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো মাগওয়াকে প্রশিক্ষণ দেয়

বহু প্রাণঘাতী যুদ্ধের সাক্ষী কম্বোডিয়া। সেখানে এখনও বহু জায়গায় মাটির নিচে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে। সেইসব ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মাগওয়াকে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে লাগানো হতো। যে জায়গা বোম্ব–ডিটেকটর হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় চারদিন সময় লাগবে সেখানে ৩০ মিনিটে সফলভাবে সার্চ অপারেশন চালাতো মাগওয়া।

কম্বোডিয়ায় ৬০ লাখের বেশি স্থলমাইন রয়েছে। স্থলমাইন অপসারণে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হালো ট্রাস্টের তথ্যমতে, ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে দেশটিতে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সত্তরের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত চলা দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়।