টাঙ্গাইল ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
কালিহাতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন কালিহাতীতে ফুল ঝাড়ু তৈরীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন। মফিদুল সভাপতি, শফিক সম্পাদক কালিহাতীতে তৌহিদ লাইব্রেরী ও ষ্টেশনারীতে আগুন ¡¡ মালিকের মাথায় হাত কালিহাতী পৌর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা নিজেকে বাংলাদেশের মালিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলো | বেনজির টিটো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বার্তা নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।” বেনজির টিটো বিএনপি দখল ও চাঁদাবাজির দায় নেবে না: বেনজির টিটো শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বি এন পি কালিহাতীতে কারো নামে চলতে পারে না। কালিহাতীতে ৯টি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট উত্তোলনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে
ব্রেকিং নিউজ :
  • এটিভি বাংলা  অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেশের বিভিন্ন  জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘এটিভি বাংলা  নিউজ পোর্টাল ’ পত্রিকায় সংবাদ প্রতিনিধি (সাংবাদিক) নিয়োগ দেয়া হবে। ‘এটিভি বাংলা [email protected]০১৭১৪৯১৮২৫৫

টাঙ্গাইলের মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ।

মো: নাহিদ খান
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বটতলায় অবস্থিত মন্টুর বিড়ি মালিক তার বিড়ির প্যাকেটে নকল
বা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বৎসরে কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট) ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

তথ্যানুসন্ধারে জানাযায় মন্টুর বিড়ি মালিক ফালু ঘোষ তাদের উৎপাদিত মন্টুর বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছে। জানা যায় প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটে মূল্য সংসোধন কর (মুসক) পরিশোধ বাবদ সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বিড়ির বিড়ি মালিক আসল ব্যান্ডরোল ক্রয় না করে দেশের একটি চোরাচালঅনী চক্রের নিকট হতে নকল ব্যান্ডরোল কিনে তাদের বিড়িতে লাগিয়ে রমরমা সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট) ফাঁকি দিয়ে আসছে। মন্টুর বিড়িতে চলছে নকল ব্যান্ডরোল লাগানোর ব্যবসা।

 

তাদের বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার এখন ওপেন সিক্রেট। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় মন্টুর বিড়ি কারখানায় প্রায় ৫শত মহিলা/পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। সপ্তাহে ৪/৫দিন ওই শ্রমিকরা সকাল ৮টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিড়ি তৈরীর কাজে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু মন্টুর বিড়ি মালিক সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা না দিয়ে কারখানায় ৬০/৮০ জন শ্রমিক দেখিয়ে প্রতারনা করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে ওই বিড়িতে যে পরিমান বিড়ি তৈরী হয় তার সঠিক হিসাব না দিয়ে টাঙ্গাইল কাষ্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সাথে অতাত করে তারা প্রতি মাসে নামকা ওরাস্তে ভ্যাট পরিশোধ করছে। বিগত দিনে টাঙ্গাইলে কষ্টমস কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিড়ি কারখানায় অভিযোগ চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোল সহ বিড়ি জব্দ করে জরিমানা ও মামলা দায়ের করলেও মন্টুর বিড়িতে কোন অভিযান পরিচালনা না করায় তাদের কাছ হতে টাঙ্গাইল ভ্যাট কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে ওই বিড়ি মালিকের কাছ হতে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে তাদের বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে একাধিক নির্ভরশীল সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

বিগত দিনে মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলেও টাঙ্গাইল ভ্যাট কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা বা অভিযান পরিচালনা করেনি বলে গুজন রয়েছে। জানা যায় মন্টুর বিড়ি মালিক ফালু ঘোষ ও টাঙ্গাইল বিড়ি মালিক সমিতির কথিত সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ পাল দীর্ঘ দিন যাবৎ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিড়ি
কারখানায় নকল ব্যান্ডরোল সরবরাহ করে নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে সরকারী কারখানায় নকল ব্যান্ডরোল সরবরাহ করে নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে সরকারী কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকিতে বিড়ি মালিকদের সুযোগ করে দিচ্ছে। জানা যায় শিবনাথ পালের কোন বিড়ি কারখানা না খাকলেও দুই যোগের বেশী সময় ধরে সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে তিনি ও ফালু ঘোষ নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে কালো টাকার মালিক হয়েছেন। মন্টুর  বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে ফালু ঘোষের সাথে কথা বললে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

 

তিনি দম্ভের সাথে বলেছেন কাষ্টমস সহ সকল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছি। মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে টাঙ্গাইল কাষ্টমস এর সহকারী কমিশনার সিকদার এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- আমি টাঙ্গাইলে সবেমাত্র এসেছি। মন্টুর বিড়ির নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলের মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ।

প্রকাশিত : সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বটতলায় অবস্থিত মন্টুর বিড়ি মালিক তার বিড়ির প্যাকেটে নকল
বা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বৎসরে কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট) ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

তথ্যানুসন্ধারে জানাযায় মন্টুর বিড়ি মালিক ফালু ঘোষ তাদের উৎপাদিত মন্টুর বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছে। জানা যায় প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটে মূল্য সংসোধন কর (মুসক) পরিশোধ বাবদ সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বিড়ির বিড়ি মালিক আসল ব্যান্ডরোল ক্রয় না করে দেশের একটি চোরাচালঅনী চক্রের নিকট হতে নকল ব্যান্ডরোল কিনে তাদের বিড়িতে লাগিয়ে রমরমা সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট) ফাঁকি দিয়ে আসছে। মন্টুর বিড়িতে চলছে নকল ব্যান্ডরোল লাগানোর ব্যবসা।

 

তাদের বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার এখন ওপেন সিক্রেট। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় মন্টুর বিড়ি কারখানায় প্রায় ৫শত মহিলা/পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। সপ্তাহে ৪/৫দিন ওই শ্রমিকরা সকাল ৮টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিড়ি তৈরীর কাজে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু মন্টুর বিড়ি মালিক সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা না দিয়ে কারখানায় ৬০/৮০ জন শ্রমিক দেখিয়ে প্রতারনা করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে ওই বিড়িতে যে পরিমান বিড়ি তৈরী হয় তার সঠিক হিসাব না দিয়ে টাঙ্গাইল কাষ্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সাথে অতাত করে তারা প্রতি মাসে নামকা ওরাস্তে ভ্যাট পরিশোধ করছে। বিগত দিনে টাঙ্গাইলে কষ্টমস কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিড়ি কারখানায় অভিযোগ চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোল সহ বিড়ি জব্দ করে জরিমানা ও মামলা দায়ের করলেও মন্টুর বিড়িতে কোন অভিযান পরিচালনা না করায় তাদের কাছ হতে টাঙ্গাইল ভ্যাট কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে ওই বিড়ি মালিকের কাছ হতে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে তাদের বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে একাধিক নির্ভরশীল সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

বিগত দিনে মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলেও টাঙ্গাইল ভ্যাট কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা বা অভিযান পরিচালনা করেনি বলে গুজন রয়েছে। জানা যায় মন্টুর বিড়ি মালিক ফালু ঘোষ ও টাঙ্গাইল বিড়ি মালিক সমিতির কথিত সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ পাল দীর্ঘ দিন যাবৎ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিড়ি
কারখানায় নকল ব্যান্ডরোল সরবরাহ করে নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে সরকারী কারখানায় নকল ব্যান্ডরোল সরবরাহ করে নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে সরকারী কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকিতে বিড়ি মালিকদের সুযোগ করে দিচ্ছে। জানা যায় শিবনাথ পালের কোন বিড়ি কারখানা না খাকলেও দুই যোগের বেশী সময় ধরে সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে তিনি ও ফালু ঘোষ নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসা পরিচালনা করে কালো টাকার মালিক হয়েছেন। মন্টুর  বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে ফালু ঘোষের সাথে কথা বললে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

 

তিনি দম্ভের সাথে বলেছেন কাষ্টমস সহ সকল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছি। মন্টুর বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার সম্পর্কে টাঙ্গাইল কাষ্টমস এর সহকারী কমিশনার সিকদার এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- আমি টাঙ্গাইলে সবেমাত্র এসেছি। মন্টুর বিড়ির নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।