শেয়ারবাজার কারসাজিতে সাকিবের কোম্পানির নাম
- প্রকাশিত : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১২৭ বার পড়া হয়েছে
নাসের দুলাল, খোরশেদ আলম এবং সানোয়ার খান।
হিরো জরিমানার টাকা জমা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গতকাল বলেন, জরিমানা কয়েকটি আদেশে হয়েছে।
এর মধ্যে জরিমানার বেশির ভাগ অর্থ জমা হয়েছে, কিছু বাকি আছে। তিনি বলেন, তথ্য-প্রমাণসহ রিভিউ পিটিশনের সুযোগ আছে। তাতে কমিশন সন্তুষ্ট না হলে জরিমানা বাড়িয়েও দিতে পারে, আবার কমিয়েও দিতে পারে।
হিরোর কারসাজিতে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, যেকোনো তদন্ত প্রতিবেদনে পারিপার্শ্বিক সব বিষয় তুলে ধরা হয়। কিন্তু যাদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতায় সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ হয় তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আবুল খায়ের সমবায় অধিদপ্তরের উপরেজিস্ট্রার। ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এই পদে যোগদান করেন। ২০২০ সালের আগে তিনি স্টক মার্কেটে সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিলেন। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় বীমা, শেয়ারের দাম, বিশেষ করে সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনের পরে তাঁর নাম প্রথম সামনে আসে।
এ বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের হিরোর ফোনে গতকাল রাতে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কারচুপির বিষয়ে বিএসইসির নোটিশের লিখিত জবাবে আবুল খায়ের বলেছেন, ‘আমরা কারসাজির জন্য শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করিনি। কিছু অবমূল্যায়িত শেয়ারে নতুন বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং নতুন বিনিয়োগের কারণে শেয়ারের দাম ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ’
জানতে চাইলে বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের কোম্পানি সচিব এ কে এম কুতুব উদ্দিন গতকাল বলেন, ‘আমাদের শেয়ার আমরা বাজারে ছেড়ে দিয়েছি। কারা আমাদের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে এটা আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
কেউ যদি কারসাজি করে থাকে তাহলে সেটা দেখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের যাতে কেউ কারসাজি করে ঠকাতে না পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। ’
শেয়ারবাজারে কারসাজি প্রসঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী গতকাল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে, বিএসইসি নিশ্চয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একের পর এক কারসাজি হতে থাকলে পুঁজিবাজার ভালোর দিকে যাবে না।