কালিহাতীতে ৯টি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট উত্তোলনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে
- প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
- / ১৬২ বার পড়া হয়েছে
কালিহাতীতে ৯টি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট উত্তোলনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে
শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৯টি বেসরকারী এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট উত্তোলনে লক্ষ লক্ষ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান সরকারের বিরুদ্ধে।
দায়ের করা অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, প্রতি এতিম নিবাসির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলনের সময় তিনি প্রতিটি এতিমখানা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ ওঠে। প্রতি এতিমের জন্য প্রতি বছর দুই কিস্তিতে মোট ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়, যা উত্তোলনের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন।
অভিযোগপত্র এবং সরেজমিনে তদন্তে জানা যায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা হান্নান সরকার ৯টি মাদ্রাসার বিলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অজুহাতে বিল গৃহীত করার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করেন এবং ঘুষের বিনিময়ে বিল অনুমোদনের প্রস্তাব দেন। কালিহাতী ইসলামিয়া এতিমখানার মুহতামিম মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগসাজশে, তিনি প্রতিটি এতিমখানা থেকে দুই লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছু এতিমখানা থেকে তিনি দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেন।
এ ঘটনার পর, অফিসার হান্নান সরকার নিজের অফিসের কয়েকজন কর্মীকে সন্দেহ করে এবং তাদের সঙ্গে রাগারাগি করেন।
সহকারী অফিসার বজলুর রশিদ জানান, হান্নান সরকার স্যার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিজের নির্দোষিতা প্রমাণের চেষ্টা করতে উদূড় পিন্ডে বুধুড় ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করতেই আমাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন।
৯টি এতিমখানার টাকা ঘুষের টাকা ফেরত চাইলেও এবং লিখিত অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তিনটি এতিমখানা—রাজাফৈর আবুআশরাফ খান এতিমখানা, দারুল উলুম মোস্তফা (সাঃ) এতিমখানা, এবং দেউপুর মোস্তাফিয়্যাহ এতিমখানা—লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত হান্নান সরকার তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
শুভ্র মজুমদার
কালিহাতী (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
০১৭১৮২৭৪৪৯৫