কালিহাতীতে পৌলীতে রেল সেতুর দুই পাশে বালু বিক্রির মহোৎসব
- প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
কালিহাতীতে পৌলীতে রেল সেতুর দুই পাশে বালু বিক্রির মহোৎসব
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মহেলা ও পৌলী এলাকার পুংলি নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে দিনরাত বিক্রি করছে স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. শাহআলম। অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রি করায় একদিকে যেমন শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে,অন্যদিকে হুমকিতে রয়েছে রেলসেতু।
এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। মাঝেমধ্যে প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ এ বালু বিক্রি। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমান রাজম্ব থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মহেলা গ্রামের পুংলি নদীতে ৬/৭ টি ভেকু মেশিন বসিয়ে এক শতাধিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিনরাত বালু বিক্রি করে আসছে ওই বিএনপি নেতারা।
স্থানীয়রা জানায়, প্রথম ঘাটে এলেঙ্গা পৌরসভার নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নুর আলমের নেতৃত্বে রয়েছে সাবেক বিএনপি নেতা শাহালম, কাদের, জলিল, একাব্বর, মনির, আফজাল মোল্লা, মাজেদুল ও আফজাল প্রামানিক। দ্বিতীয় ঘাটে মামুনের নেতৃত্বে রয়েছে, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল বারেক,মো.জহুরুল ও শরীফ । তৃতীয় ঘাটে ব্যাংকার মহসিনের নেতৃত্বে রয়েছে শহিদউজ্জামান, আয়নাল,তোফাজ্জল হোসেন। তারা আরো জানায় দিনরাত ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ ও ওই এলাকার একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটির চরম বেহাল দশা হয়েছে। সামনেই বর্ষা মৌসুম। এলাকাবাসীর ধারণা এভাবে দিনরাত বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচল করলে এই বর্ষা মৌসুমেই ভেঙে পড়তে পারে রেল সেতু ও সড়ক সেতু।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, মো. শাহআলম ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। দল ক্ষমতায় না থাকলেও তার প্রভাব একটুও কমেনি। দাপটের সহিত চলাফেরা তার। এছাড়াও রয়েছে তার বিশাল বাহিনী। সে সবসময় বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা চালায়। ইতোপুর্বে তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে এলাকার অনেকেই।
তারা আরো জানায় প্রশাসনের সাথে সখ্যেতা রয়েছে শাহআলমের। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পুংলি নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসন দায় এড়ানোর জন্য আসে। আসার আগে খবর দেয়,গাড়ী বন্ধ করে রাখে, এমন সময় প্রশাসন এসে বালু ঘাট ঘুরে চলে যায়। প্রশাসন যাওয়ার কিছুক্ষন পরে আবার শুরু হয় অবৈধ বালু কাটা।
দিনরাত বালু ভর্তি ট্রাক রেল সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করায় ইতোপুর্বেও রেল সেতুটি ধসে পড়েছিলো। পড়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। রেল সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর নিচে পিলার ঘেরে রাখে,যাতে করে সেতুর নিচ দিয়ে কোন যান চলাচল করতে না পারে। সম্প্রতি ওই বালু ব্যবসায়ীরা ওই পিলার তুলে ট্রাক চলাচলের রাস্তা বানাইছে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. শাহআলম বলেন, তিনি নদী থেকে বালু মাটি কাটে না। তিনি তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির বালু মাটি কেটে বিক্রি করছে।
অপরদিকে পৌলী ব্রীজের পশ্চিমে ঘোষ বাড়ির কয়েকজনের নেতৃত্বে অবাধে বালু উওোলন করে বিক্রি করছেন বালুখেকোরা।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. শাহাদাৎ হুসেইন বলেন, তিনি উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভুমি) এসিলেন্ডকে বলে দিয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নিবেন।